শীতের স্বাস্থ্য টিপস
শীতের সময়ে আমাদের শরীরের একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে
যারা শীতের স্বাস্থ্য টিপ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য খোঁজাখুঁজি করে। এছাড়াও
শীতের টিপস সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না আপনি যদি শীতের বিভিন্ন রকমের টিপস
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব
মনোযোগ সহকারে করতে হবে। তাহলে আপনি সঠিক তথ্যটা জানতে পারবেন।
শীতের সময়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বাসা বাধে। আর এই শীতে শুধু
স্বাস্থ্যের উপরে না আমাদের জীবন যাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর এর সবচেয়ে বেশি
সমস্যায় পরে শিশু ও বৃদ্ধরা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতের স্বাস্থ্য টিপস
শীতের স্বাস্থ্য টিপস
তীব্র শীত ঝেঁকে আসছে শীতের সময় মানুষের স্বাস্থ্যের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়ে আর
এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের। আর এই সময়ে মানুষের
সর্দি-কাশি নিউমোনিয়ার টনসিল অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট বাত ব্যথা হাটের সমস্যা বিভিন্ন
ধরনের রোগ বেড়ে যায়। আর বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া ডায়রিয়া এসব রোগে বেশি
আক্রান্ত হয়। এই তীব্র শীতের যেহেতু শিশুরা নিউমোনিয়া নানা বিভিন্ন রোগে সহজে
আক্রান্ত হয়ে যায়।
সেহেতু তাদের এই সময়টায় শীত উপযোগী কাপড় পরিধান করাতে হবে। শিশুকে গরম কাপড়
দিয়ে মাথা ঢেকে রাখলে শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকবে। এছাড়াও রুম হিটার ব্যবহার
করতে পারেন তবে লম্বা সময় ধরে রুম হিটার ব্যবহার করা যাবে না। শীতের সময় পাঁচ
বছর বয়সের কম শিশুদের রুমের বাইরে বের না করাই সবচেয়ে বেশি ভালো। শিশুদের যদি
অ্যাজমা থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ধুলোবালি থেকে দূরে রাখতে হবে।
প্রয়োজন হলে মুখে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
দৈনন্দিন ব্যবহার করা জামা কাপড় নিয়মিত আপনাকে সাবান পানি দিয়ে ধুতে হবে। আর
শীতবস্তু তোষক ল্যাব নিয়মিত রোদে দিতে হবে শিশু যদি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়
তাহলে অবশ্যই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। অনেকেই আবার শীততে
ঠান্ডা লাগার ভয়ে সেলাইন খাওয়াতে চাইনা যা মোটেও একদম ঠিক নয়। পানির পাশাপাশি
শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট শীতের সময় বেশি বাড়ে
আর এই সময়ে রোগীদের বাইরে না যাওয়াটাই উত্তম।
শীতের সময় বয়স্ক মানুষের বাতের ব্যথা বেশি বাড়ে। মোজা পরিধান করতে হবে ব্যথার
স্থানে হালকা গরম সেঁক দিতে হবে। যতটুকু সম্ভব ঘরেই থাকা উচিত তাছাড়া তীব্র
ঠান্ডার বাতের কিছু রোগীর হাত পাও নীল হয়ে যেতে পারে যেটাকে বলা হয় রেনোড
ফেনোমেনা। আর এইসব রোগীদের বারবার পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। শীতের সময় ভোরের
দিকে হাটা টাকের ঝুঁকিও বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের এই ঝুঁকি
বেশি থাকে তাই শীতের সময় কুয়াশার মধ্যে হাটাহাটি না করাই ভালো।
একটু রোদ উঠলে ব্যায়াম বা হাটাহাটি করা উচিত। তীব্র এই শীতে আরেকটি সমস্যা হল
হাইপোথার্মিয়া আর এতে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ পড়ে তাহলে
রোগীকে দ্রুত গরম আবহাওয়া এনে গরম কাপড় পরিধান করে গরম পানি পান করাতে হবে।
শীতের সময়ে তুলসি পাতা, মধু, কমলা, পালং শাক, সরিষা শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি,
গাজর, আদা, সবুজ শাগ, গ্রিন টি বেশি করে খাওয়া উচিত। এগুলোতে রয়েছে ফাইবার ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের সজীবতা বজায় রাখে।
এবং খাদ্য হজমে সাহায্য করে। শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় তবে
আপনি যদি একটু সচেতন হন তাহলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন। শীতকালে যেহেতু
রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে তাই দেহের অত্যন্ত ঋণ প্রতিরক্ষার
ব্যবস্থা দরকার। শীতকালে ফল শাক সবজি বেশি বেশি খাওয়া উচিত। এছাড়াও গরম কুসুম
পানি খেতে হবে শীতের শুরুতে।
শীতের টিপস
আবহাওয়ার ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে গরম কাপড়ের সংখ্যা। তবে শুধু
শীতে গরম জামা কাপড় নিয়ে ভাবলে হবে না শীতের সময় নিজের ত্বকে ভালো রাখতে হবে
ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আমরা আজকে আপনাদের জানাবো শীতের কিছু টিপস সম্পর্কে আসুন
তাহলে জেনে নিন।
- প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শাক সবজি ও ফল রাখতে হবে।
- যাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক তাদের গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরম পানির ত্বকের মশ্চরাইজার কমিয়ে আনে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে আপনার যদি পানিতে অরুচি চলে আসে সেক্ষেত্রে আপনি ফলের জুস পান করতে পারেন।
- ডিমের কুসুমের সাথে এক চামচ মধু ও এক চামচ গুড়া দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে তা ত্বকের ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসপ্যাকটি চোখ এবং ঠোঁট ছাড়া তোকে সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং বিশ মিনিট রাখার পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- বাজারে আজকাল অ্যালোভেরা জেল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অ্যালোভেরা থেকে পর্যাপ্ত জেল নিয়মিত ৩০ মিনিট করে মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের ময়েশ্চার বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
- গোসলের আগে বা পরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখা যায়।
- পাকা পেঁপে ও পাকা কলা ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি হচ্ছে একটি কার্যকরী পদ্ধতি যা আপনার ত্বক সুস্থ রাখবে।
- একটি ছোট পাত্রে পানির সাথে মধু ও এক চামচ গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি অনেক উপকারী।
শেষ মন্তব্যঃ শীতের স্বাস্থ্য টিপস
শীতকালে সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান
গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্ন নিতে হবে, যাতে শুষ্কতা বা ফাটল দেখা না দেয়। শীতের
সময় শীতলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উপযুক্ত পোশাক পরিধান করুন। সর্দি-কাশি থেকে
বাঁচতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই সমস্ত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
আপনার শীতকালীন জীবনে স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং আপনাকে তাজা ও সচল রাখতে সাহায্য
করবে।
অভিষেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url