স্থায়ী ফর্সা হওয়ার কার্যকারী উপায় জেনে নিন
আপনি কি আপনার চেহারা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। ভাবছেন স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
নিয়ে। অনেক প্রসাধনী ও কসমেটিক্স ব্যবহার করার পরেও কাঙ্খিত ফলাফল পাননি। তাহলে
আমাদের এইআর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লেই বিস্তারিত একটা ধারণা
পেয়ে যাবেন। ফর্সা ত্বক সকলেরই কাম্য। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের কর্মময় ব্যস্ততা
ও সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক আর ফর্সা হয়ে উঠে না।
কিন্তু মানুষ তার সৌন্দর্যের
জন্য কত কিছুই না করছে। তার সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক এর ব্যবহার ও
হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেও সঠিক ফলাফল পাচ্ছে না। সুতরাং আপনি যদি আপনার ত্বককে
স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে নিম্নে দেওয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন।
পেজ সূচিপত্রঃ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার কার্যকারী উপায় জেনে নিন
- স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
- প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
- কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
- মধু ও হলুদদের মিশ্রণ
- মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ
- ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করব
- ত্বক পরিষ্কার ও মশ্চারাইজ করুন
- স্বাস্থ্যকর খাবার
- অতিরিক্ত চাপ কমানো
- ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ক্লিনজিং
- টোনার
- মশ্চারাইজিং
- ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
- ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
- শেষ মন্তব্যঃ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার কার্যকারী উপায় জেনে নিন
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
আমরা সবাই সুন্দরের পূজারী। বন্ধুবান্ধবদের আড্ডা মহলে বা সমাজে সৌন্দর্য দারুন
ভূমিকা রাখে। তাই মানুষ তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল
যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করছে । এটা হয়তো আপনাকে সাময়িকভাবে ফর্সা করলেও এর
স্থায়িত্ব হয় না। এতে আপনার উপকারের থেকে অপকারী বেশি হয়।
যেমনঃ আপনার চেহারা আগের তুলনায় অনেক কালো হয়ে যেতে পারে। বয়সের ছাপ দেখা
দিতে পারে। ত্বক ঝলসে যেতে পারে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অনেকে
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চাই। আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে কোনরকম সাইড
ইফেক্ট ছাড়াই ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। নিচে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
লেবুর ব্যবহারঃ লেবু আমাদের ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
প্রথমত এক পিস লেবু কেটে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। এরপর দুই চামচ লেবুর রসের
সাথে এক চামচ পানি ও দুই চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে । এরপর এটা আপনি
আপনার ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। সঠিক
ফলাফল পেতে এইটা আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের ব্যবহারঃ রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার অনেক। প্রথমে আপনি এক চা
চামচ কাঁচা হলুদ ও সাথে দুই চামচ লেবুর রস নিবেন। এরপর মিশ্রণ টি ভালোভাবে
মিক্সড করে দিবেন। তারপর আপনার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
দই এর ব্যবহারঃ শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে দই রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়।
প্রথমত দুই চামচ টক দই ও এক চামচ মধু নিয়ে উপাদান দুইটি ভালোভাবে মিক্সড করে
নিন। এরপর মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে নিন। তাছাড়া টক দই আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তোলে।
অ্যালোভেরাঃ প্রাকৃতিকভাবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চায় এলোভেরা
কার্যকারী ভূমিকা রাখে। এটি ঔষধি গাছ হওয়ায় আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ
প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। এটি আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ব্রণ ও মেছতা
ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতেও
ভূমিকা রাখে।
টমেটোঃ টমেটো আমরা সালাত হিসাবে খেলেও রূপচর্চয়ের ব্যবহার অনেক। এটি
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
কমলাঃ কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দূর করে। কমলা
লেবু আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে ও বাহ্যিকভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
দুই চামচ কমলালেবুর রস ও এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি
আপনার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে
ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে
পারেন।
দুধঃ এক চামচ মধু এর সাথে এক চামচ দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর
মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
মধুঃ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় এর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে মধু। মধুকে
বলা হয়ে থাকে সকল রোগের মহা ওষুধ। রূপচর্চায় মধু অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতেন মধু এর ব্যবহার অনেক। মধু
আপনি বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
বেসনঃ বেসন আমাদের ত্বকের টানটান ভাব, রৌদ্রে পোড়া কালচে ভাব, ব্রণের
গর্ত দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমত আপনি চার চামচ বেসন এক চামচ হলুদের গুঁড়া
ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন।
মিশ্রণটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে নিন। ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে অর্জন করতে ও ভালো ফলাফল পেতে এটি আপনি
প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপজলঃ গোলাপজল ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ থাকায়
আমাদের ত্বককে লাবণ্যময়ী ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রতিদিন আমরা আমাদের সৌন্দর্যের বৃদ্ধির জন্য কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু
কৃত্রিম আসলেই কোন কিছু ভালো বয়ে আনে না। হয়তো আমাদের সাময়িকভাবে সৌন্দর্য
প্রদান করলেও পরবর্তীতে এর নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। স্থায়ী ফর্সা হওয়ার
উপায় অনেক থাকলেও সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে। নিম্নে
আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি
পানিঃ পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের
অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করতে ও সাহায্য করে। এজন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে
পানি পান।
পর্যাপ্ত ঘুমঃ একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষকে প্রতিদিন মিনিমাম ৬ ঘন্টা
ঘুমাতে হবে। অনেকেই আছে যারা রাত জেগে সিনেমা, নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ
ইত্যাদি দেখে থাকেন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বেশি রাত জাগলে
চেহারায় কালো বিবর্ণ ও তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়।
খাদ্যঃ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতিকর প্রভাব
ফেলে। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের
আবির্ভাব। যেমনঃ ডায়াবেটিস, চামড়া টানটান করে মুখে ভাজ ফেলে দেই ইত্যাদি
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যায়ামঃ কথায় আছে সুস্থ দেহ সুন্দর মন। আমাদের দেহকে সুস্থ ও সুন্দর
রাখতে ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নেই। ব্যায়াম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ও কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ব্যায়াম আমাদের শরীরের অতিরিক্ত বর্জ্য
পদার্থ ও শরীরকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে ও দারুন ভূমিকা রাখে। আপনি যদি আপনার
ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নেই।
মুখ ধোয়াঃ প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে
ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে ভালো কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার
করতে হবে এবং এটি ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী লাগিয়ে
নিতে হবে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
সবাই চাই উজ্জ্বল ও ঝকঝকে চেহারার অধিকারী হতে। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলা
আমাদের এক একজনকে এক এক রকম আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। কারো গায়ের রং ফর্সা
আবার কারো গায়ের রং কালো বিবর্ণ দিয়ে সৃষ্টি করেছ। কিভাবে সহজেই দ্রুত ও
প্রাকৃতিক উপায়ে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
মধু ও হলুদদের মিশ্রণ
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মধু ও হলুদদের মিশ্রণ।
চলুন মধু ও হলুদ এর মিশ্রণটি কিভাবে প্রস্তুত করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন
সেই নিয়ে আলোচনা করি।
- প্রথমত আপনি দুই চামচ কাঁচা হলুদ ও চার চামচ মধু মিক্সড করে নিন।
- এরপর মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
- তারপর হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- এভাবেই আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ
আপনি যদি মধু ও হলুদ মিশ্রণ এর পাশাপাশি অন্য উপায়ে কালো থেকে ফর্সা হতে চান
তাহলে মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ হতে পারে আপনার জন্য একটা দারুন একটা উপায়। মধু
ও লেবুর রসের মিশ্রণ আপনার ত্বকের কালচে ভাব ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য
করে। চলুন মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণটা কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই নিয়ে আলোচনা
করি।
- প্রথমে তিন চামচ লেবুর রসের সাথে দুই চামচ মধু ও একটা চামচ গোলাপ জল মিক্সড করে দিবেন।
- এরপর মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণটা আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে দিন।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- খুব দ্রুত কার্যকরী ফলাফল পেতে আপনি এটা প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
সত্যি কথা বলতে তিন দিনে ফর্সা হওয়া আসলেই কখনো সম্ভব নয়। ত্বক ফর্সা বা কালো
এটা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমনঃ জিনগত কারণ, পরিবেশগত ও জীবনধারণের উপর
নির্ভর করে। তবে বাজারে হয়তো এমন অনেক ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো হয়তো আপনাকে
রাতারাতি ফর্সা করলেও এগুলো ব্যবহারের ফলে উপকারের থেকে অপকারিতাই বেশি। সুতরাং
এই ধরনের ক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো। নিচে তিন দিনের ফর্সা হওয়ার উপায় সংক্ষেপে
আলোচনা করা হলো
সানস্ক্রিন ব্যবহার করব
সানস্ক্রিন আমাদের বাইরের রোদ ধুলাবালি ভিতরে থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন বাইরে
বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন এর ব্যবহার করতে হবে। এটা আমাদের ত্বককে
সূর্যের ক্ষতিকারক রশি ও রোদ্রে পড়া কালচে ভাব ইত্যাদি থেকেও রক্ষা করে।
ত্বক পরিষ্কার ও মশ্চারাইজ করুন
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার অনেক উপায় থাকলেও সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে ত্বক
পরিষ্কার করা। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করার ফলে আপনার ত্বকে জমে থাকা ময়লা,
ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জমতে পারে না।
স্বাস্থ্যকর খাবার
প্রচুর ফল, শাকসবজি আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও
কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলে। সুতরাং সুস্থ থাকতে হলে আমাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যকর
খাবার গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত চাপ কমানো
অতিরিক্ত চাপ ব্রণের সৃষ্টি করে। এর জন্য আমাদের অতিরিক্ত চাপ কমাতে হবে
নিয়মিত ব্যায়াম ধ্যান ও গভীর অনুশীলনের মাধ্যমে এড়িয়ে চলতে হবে।
ত্বকের যত্নে পণ্যের ব্যবহারঃ বাজারে এমন অনেক পণ্য রয়েছে যা ত্বকের যত্নে
ব্যবহার অনেক কার্যকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা
হবে।
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়
সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য অনেকেই কত কিছুই না করছে। ত্বকের যত্নে মানুষ হাজার
হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করছে। অনেকেই পার্লারে ঘুরে ঘুরে ও স্কিন এর ট্রিটমেন্ট
করাচ্ছে। বাজারে অনেক নামি দামি প্রোডাক্ট বাসায় কিনে নিয়ে এসে যত্ন নেওয়ার
চেষ্টা করছে। হয়তো সঠিক দিক নির্দেশনা ও যত্নের অভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়াতে পারছে না। চলুন ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করি
ক্লিনজিং
আপনি যদি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে চিন্তাই থাকেন। তাহলে আমি বলব
নিয়মিত আপনার ত্বকের যত্ন নিন এবং প্রতিদিন দুইবার আপনার ত্বকের সঠিকভাবে
ক্লিনজিং করুন। ক্লিনজিং আপনার ত্বকের সারাদিনের জমে থাকা ময়লা ও ধুলাবালি দূর
করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে
পরিমান মত ক্লিনজার মুখে লাগিয়ে নিন এবং ভালো হবে মেসেজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। এটি আপনি এক মাস করলেই এর ফলাফ পাবেন।
টোনার
ত্বকের যত্নে টোনার অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যদি কোন কারণে ত্বকের ভারসাম্য
নষ্ট হয় বা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যেমনঃ ত্বক রুক্ষ ও শুকনো হয়ে
যাওয়া, রোদ্রের কালচে পড়া এবং ত্বকের পিএইচপি ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই টোনার এর ব্যবহার জানানো বলে ত্বকের নানা
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ক্লিনজিং করার পর আপনি একটা তুলো নিয়ে আপনার ত্বকে
লাগিয়ে নিন। এইভাবে আপনি প্রতিদিন সকালে ও রাত্রে টোনার ব্যবহার করলে ত্বকের
অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মশ্চারাইজিং
ত্বকের যত্নে মশ্চারাইজ অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অবশ্যই টোনার এর পরে ত্বকে
অবশ্যই মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজারে অনেক ভালো ভালো ব্র্যান্ডের
মস্তরাইজার পাওয়া গেলেও আপনার ত্বকে ধরুন অনুযায়ী একটা মশ্চারাইজার বাছাই করে
নিবেন। উপরের আলোচিত বিষয় গুলো আপনি যদি নিয়মিত এক মাস করতে পারেন তাহলে
অবশ্যই আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হবে।
ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
আপনি নিশ্চয়ই ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম এর নাম জানতে এসেছেন। বাজারে এমন
অনেক ক্রিম রয়েছে যেগুলো অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। সেগুলো ব্যবহারের
ফলে আমাদের ত্বক সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও উপকারের থেকে অপকারই বেশি হয়। সুতরাং
এই ধরনের ক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো। চলুন জেনে নেয়া যাক ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি
ক্রিম এর নাম গুলো
Himalaya Herbal Night Cream
Oil control Moisturizer Night Cream
White Perfect Cream
Ponds gold Night Cream
Garnier glo Cream
Lotus Night Cream
Olay Natural White night cream
Loreal Man Expert White Active Night cream
Loreal Men Expert White Active
Super Viga Spray
Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream
Lotus Herbal Night Cream
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় অনেক থাকলেও সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে ভেতর থেকে
ফর্সা হওয়া। ভেতর থেকে ফর্সা হতে হলে অবশ্যই প্রাকৃতিক উপায়ে হতে হবে।
প্রকৃতির বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে আপনি ভেতর থেকে ফর্সা হতে পারেন।
এছাড়াও খাদ্য আমাদের ভেতর থেকে ফর্সা করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাদ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও
কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সুষম খাদ্যের
উপস্থিত থাকতে হবে। যেমনঃ আমিষ, শর্কর, ভিটামিন, খনিজ লবণ, আয়োডিন ইত্যাদি।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতেও সাহায্য
করে। যেমনঃ পালং শাক, টমেটো,গাজর, শসা ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমনঃ আপিল,
কমলা,আনারস, পেয়ারা, পেঁপ, ডালিম ইত্যাদিকে আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা
করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও টকদই আমাদের চেহারার সৌন্দর্য ও
বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শেষ মন্তব্যঃ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার কার্যকারী উপায় জেনে নিন
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায় যেমন নিয়মিত ত্বকের যত্ন, সঠিক
খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান, সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং ত্বকের জন্য উপযুক্ত
হালকা মাস্ক প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ থাকে এবং ধীরে
ধীরে উজ্জ্বলতা বাড়ে। তবে, খুব বেশি রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত
থাকা উচিত, কারণ এগুলি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
সবশেষে, স্বাভাবিক রূপের প্রতি আস্থা রাখা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ত্বককে
দীর্ঘকাল সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। স্থায়ী ফর্সা হওয়ার প্রক্রিয়া
সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও সঠিক পরিচর্যা
মেনে চললে ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল ও তাজা থাকবে।
অভিষেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url