শরীর সুস্থ রাখার ১০টি সহজ উপায়
আমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হতে চাই না। কারণ অসুস্থ হওয়া মানেই ঝামেলা ও বাড়তি খরচ। তাই আমরা সবাই সুস্থ জীবন কাটাতে চাই। অসুস্থ হলে শুধু খারাপ লাগে তাই না কোনো কাজে আমরা ঠিক মতো মন বসাতে পারি না।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে এমন ১০টি উপায় শিখবো যেয়গুলু আপনি যদি নিয়মিত মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
ভূমিকা
কথাই আছে সাস্থই সম্পদ। আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই কেউ অসুস্থ থাকতে চাই না। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের বেশি কিছু না শুধু কয়েকটি নিয়ম কানুন মেনে চললেই হয়। চুলুন জেনে কি কি উপায়ে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে পারব। আজকের আর্টিকেলটিতে এমন ১০টি উপাই বলে দিবো যেই গুলু মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
নিযেকে সুস্থ রাখার ১০টি উপায় গুলু হলোঃ ব্যায়াম
- সঠিক খাবার খান
- পর্যাপ্ত জল খান
- উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
- শরীরের সঠিক ওজন বজাই রাখুন
- রাতে ভালো ঘুমান
- বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন
- অ্যালকাহল ও ধূমপান করবেন না
- মানসিক চাপ কমান
- মেডিটেশন
- নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান
ব্যায়াম
শরীর সুস্থ রাখার প্রথম উপায় হলো ব্যায়াম করা।নিয়মিত শরীর চর্চা করলে শরীর ফিট থাকে। শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনি নিজের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাহলে আপনি সুস্থ জীবন জাপন করতে পারবেন। আপনি নিয়মিত সকালে জগিং করুন খেলাধুলা করুন আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি নিয়মিত শরীর চর্চা করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ রাখার ১০টি সহজ উপায়
সঠিক খাবার খান
সঠিক খাবার খাওয়া হলো শরীর সুস্থ রাখার আরেকটি উপায়। পুষ্টিকর খাবার ছাড়া ভালো স্বাস্থ্য সম্ভব নয় আর পুষ্টি লাভ করার জন্য সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সারাদিনে অন্তত ৫টি শাক সবজি আপনার খাদ্য তালিকাই রাখুন। কারণ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমানে রয়েছে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। আপনার খাবার তালিকা থেকে আপনি ফাস্ট ফুড বাদ দিন কারণ ফাস্ট ফুড খেলে আমাদের শরীর খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পরে।
পর্যাপ্ত জল খান
নিজেকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া খুব প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জল না খেলে আমাদের হজমে অসুবিধা হয়। আর খাবার হজম না হলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়বো। পর্যাপ্ত জল খেলে শরীরের পেশীতে শক্তি যোগাই ও তাপমাত্রা নিয়ত্রন করে। আপনি কাজ করার সময় টেবিলের পাশে ও ঘুমাতে জাওয়ার সময় বিছানার পাশে জলের বতল অবশ্যই রাখুন। বোতলটি দেখে যাতে জল খাওয়ার কথা মনে পরে।
উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
অসুস্থতা ও রোগ সংক্রামক এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। আমরা যদি বাহির থেকে আসি তাহলে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোনো জীবাণু হাতের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে মারাক্তক রোগের সংক্রমণও এরানো যায়, যেমন নিউমনিয়া ও ডাইরিয়া ।
শরীরের সঠিক ওজন বজাই রাখুন
আমাদের সকলের শরীরের আকার আয়তন এক নয় ,তবে আপনার শরীরের ওজন ঠিক আছে কিনা তা দেখার সহজ উপায় হলো বডি মাস ইনডেস্ক। ১৮.৫এবং২২ .৯রেঞ্জের মধ্যে BMI হল আদর্শ। ওজন কমানোর অনেক উপায় আছে কিন্তু কোনটা আপনার জন্য সঠিক সেটা বেছে নেওয়া জরুরি। তাই আপনি কোনো ভালো ডাইতিসেয়ান এর পরামর্শ নিতে পারেন।
রাতে ভালো ঘুমান
ভালো ঘুম আপনাকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। আপনি ঘুমাতে জাওয়ার আগে সমস্ত ট্রেস ঝেরে ঘুমাতে জাবেন তাহলে আপনার ঘুম ভালো হবে। এক গ্লাস গরম দুধ আপনাকে রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমাতে জাওয়ার ঠিক আগেই খাবার খাবেন না। আপনাকে অবশ্যই ঘুমাতে জাওয়ার ৩০মিনিট আগে খাবার খেতে হবে।
বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ বাহিরে কিভাবে খাবার গুলু তৈরি করা হচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছি না খাবার গুলু হইত কোনো অপরিস্কার জাইগাতে তৈরি করা হয় সেই খাবার গুলু খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বো। ফাস্ট ফুড খাওয়া আমাদের বাদ দিতে হবে। তাহলে আমরা সুস্থ থাকতে পারব।
অ্যালকাহল ও ধূমপান করবেন না
অ্যালকাহল শরীরে টক্সিনের এর পরিমান বাড়িয়ে দেয় যা শরীরে হৃহপিণ্ড ও ফুস্ফুস এ সমস্যা সৃষ্টি করে। ধূমপান করলে আমাদের কান্সার এর মতো মরন ব্যাধি হতে পারে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য নেশা জাতীয় জিনিস থেকে বিরত থাকতে হবে।
মানসিক চাপ কমান
আমরা যদি সব সময় মানসিক অশান্তিতে ভোগী তাহলে আমরা এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়বো। আমাদের সুস্থ থাকার জন্য মানসিক শান্তির প্রয়োজন। মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকলে আমাদের মনে হবে আমরা খুব সুস্থ আছি। আমরা যদি কাজের ফাকে একটু ঘুরাফেরা করি তাহলে আমাদের মন ভালো থাকে।
মেডিটেশন
মেডিটেশন বা ধ্যানের সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী উপকারিতা রয়েছে। এটি মানসিক চাপ কমায়, আমাদের আরও ভালোভাবে সংযোগ স্থাপন করতে দেয়, লক্ষ্যে স্থির রাখে এবং ব্যথা দূর করে।
পর্যাপ্ত অনুশীলন, মননশীলতা, মস্তিষ্ককে স্থির রাখা এবং নিজের প্রতি সদয় হওয়া জীবনের অভ্যাসে পরিণত হতে পারে।
নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান
আপনি সুস্থ থাকলেও ডাক্তার এর কাছে পরীক্ষা দেখে আসবেন। এটি যে কোনও রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ডাক্তারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে, আপনার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কম করে, আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি এমন একটা জিনিস যা আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার ক্যান্সার সহ অন্য কোনও রোগের ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করুন। স্থূলতা, ধূমপান, নিয়মিত অ্যালকোহল পান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত চিকিৎসা করান, যে কোনও তাহলে রোগ প্রথম দিকেই সনাক্তকরণ সহজ হবে এবং তাতে আপনার দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ থাকবে।
লেখকের মন্তব্য
আমি মনে করি উপরের এই দশটি উপায় যদি আপনি নিয়মিত মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্যটা জানিয়ে যাবেন।
আর যদি আর্টিকেলটি আপনার উপকারি বলে মনে হয় তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন,ধন্যবাদ।
অভিষেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url