কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
আপনারা অনেকেই জানেন না কোন ফলের পুষ্টিগুণ কেমন। কোন ফলের পুস্তিগুন সবচেয়ে বেশি এটা বলা কষ্টকর। কারণ পুষ্টিগুণ ছাড়া কোনো খাবার হয় না। সবচেয়ে পুষ্টিগুণ যুক্ত খাবার হলো বিভিন্ন ফলমূল। সব ফলের পুষ্টিগুণ একই নয়।
আমরা অনেকেই জানিনা কোন ফলে পুষ্টি বেশি আবার কোন ফলে পুষ্টি কম থাকে। যে ফল গুলুতে পুষ্টি বেশি থাকে সেই ফল গুলুকে সুপার ফল বলা হয়।আরো জানবো ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি এটা অনেকেই জানে না। কারণ সব ফলেই কমবেশি পুষ্টি বিরাজ করা। এই কারণে ফলকে পুস্তির পাওয়ার হাউস বলা হয়। কিছু ফল আছে যার মধ্যে পুষ্টি উপাদান সব চেয়ে বেশি থাকে। সেইগুলু হলোঃ পাকা আম, কাঁঠাল, পেয়ারা,আনারস, পাকাপেপে, লাল বাতাবি লেবু, জাম, ইতাদি প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে।
লিচু, আতা, জলপাই, কমলালেবু, জাম, আম, পেপে, কামারাঙ্গা, পেয়ারা, আমলকী, লেবু, এইগুলুতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যে সকল ফলে সেইগুলু হলো ডালিম, জলপাই, গাব, তেতুল, খেজুর, কদবেল, নারিকেল ইত্যাদি। উপরিক্ত ফলগুলু থেকে আমরা জানতে পারলাম কোন ফলের পুষ্টিগুণ বেশি।
কোন ফলে ভিটামিন সবচেয়ে বেশি থাকে
আমরা সবাই জানি ফল ভিটামিনের প্রধান উৎস। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে কোন ফলে ভিটামিন সবচেয়ে বেশি থাকে। কোন ফলে ভিটামিন বেশি থাকে এটা জানা আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ এটি জানা থাকলে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজে ও শিশুদের ফল খাওয়াতে পারব। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ১১০ থেকে ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন। চলুন আজকে জেনে নিই কোন ফলে ভিটামিন সবচাইতে বেশি।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল: পাকা আম, আনারস, পেয়ারা, কাঁঠাল, পাকা পেপে, বাতাবি লেবু, জাম, বাঙ্গি, জামরুল, ইত্যাদি। পাকা ফল গুলুতে ভিটামিন এ পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি1 সমৃদ্ধ ফল: পাকা আম, কাঁঠাল, কলা, আনারস, ডাবের জল ইত্যাদি।
ভিটামিন বি2 সমৃদ্ধ ফল: পাকা কাঁঠাল, আমলকী, বরই, লটকন, আতা, ইত্যাদি।
কোন ফলে সবচেয়ে ভিটামিন সি থাকে
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য ফল খাওয়া খুব প্রয়োজন। কারণ ফলমুল এ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন অপারেশন বা শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে তা শুকানোর জন্য ডাক্তাররা ভিটামিন সি থাকা খাবার গুলু খেতে বলে। টক জাতীয় ফল গুলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি থাকা ফল্গুলু হলো লিচু, জলপাই, আনারস, পেয়ারা, কমলা লেবু, লেবু, আমলকী, জাম, আম, পেপে, ইত্যাদি এই ফল গুলুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
রাতে ফল খাওয়ার উপকারিতা
ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকার বলে আমরা যেকোনো ফল থাকি। কিন্তু আপনাকে ফল খাওয়ার জন্য কিছু সময় জেনে হবে যেকোনো সময় ফল আমাদের শরীরের জন্য উপকারি হয় না। ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। ফল আমাদের পেট ভরায় পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেই এমনকি শরীরের ওজন কমাতে ও ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে ত্বক ভালো রাখতে ভুমিকা রাখে। কিন্তু আমরা ফল বিভিন্ন সময় খেয়ে থাকি।
আপনারা অনেকেই ভাবেন রাতে ফল খাওয়া সঠিক সময় কিনা বা রাতে ফল খাওয়া যাবে কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ফল খেলে শরীরের শর্করা এবং শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ঘুম আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই রাতে ফল না খাওয়াই ভালো।
আপনারা সূর্যাস্তের আগে ফল খেতে পারেন। তাহলে ফলের সব রকম উপাদান শরীরে ভালো ভাবে প্রবেশ করে। সকালে ফল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। দুপুরে খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ফল খাওয়া উচিৎ। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার ফলে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা
আঙ্গুর ফল আমাদের সবার খুব পরিচিত একটি ফল। আঙ্গুর ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। আঙ্গুর ফলে পাওয়া যায় ভিটামিন কে সি এবং খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম। শরীরের জন্য উপকারী। ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এন্টি অক্সিডেন্ট ও খুনি যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আঙ্গুর ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আঙ্গুর ফল বার্ধক্য রোধে কাজ করে। শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্যহীন কে প্রতিরোধ করে। চলুন জেনে নিয়ে আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা।
কিডনি জন্যঃ আঙ্গুর ফলে যেসব উপাদান গুলো রয়েছে তা ক্ষতিকারক ইউরিক এসিডের মাত্রা সহনাশীল অবস্থায় রাখে। রোগ ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। এতে আমাদের কিডনি ভালো থাকে।
চোখ ভালো রাখতেঃ বয়সে কারনে যারা চোখের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই ফলটি খুব বেশি কার্যকর।
বয়সের ছাপ দূর করতেঃ আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকেল ত্বক নষ্ট করে দেয়। আঙ্গুর ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এ ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যথাঃ আঙ্গুর ফলে থাকা সমস্ত উপাদান মাইগ্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করে মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। কোন কারণে মাথাব্যথা শুরু হলে আঙ্গুর খেলে আরাম বোধ হয়।
বদহজম দূর করতেঃ নিয়মিত আঙ্গুর ফল খেলে বদহজম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাড় শক্ত করে। আঙ্গুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ যেমন ম্যাঙ্গানিজ লোহা তামা যাহার শক্ত করতে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ আঙ্গুর ফলে রয়েছে টরোষ্টেলবেন নামে এক ধরনের যৌগ। যা করেস্টল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আঙ্গুর ফলে আমাদের আরো কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ করে থাকে সেগুলো হলো ভুলে যাওয়া, আসমা প্রতিরো্ধ, টকের সুরক্ষায, চুলের যত্নে।
আমাদের শেষ কথা
ফল আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারি। ফল খেলে আমদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এই পোস্টটি পড়ে আজকে আমরা জানলাম ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পকে। সাথে আরো জানলাম কোন ফলের পুষ্টিগুণ বেশি কোন ফল খাওয়া উত্তম। শরীর ভালো রাখতে আমাদের নিয়মিত ফল খেতে হবে। কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।
অভিষেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url